Header Ads

Header ADS

ভালো নম্বর পেতে যেসব কৌশল ব্যবহার করা জরুরি।

 



লেখকঃ সাদিক হাসান শুভ, সহকারী অধ্যাপক, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

নিশাত আনজুম, মাস্টার্স শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

 

স্কুল এবং কলেজের গন্ডি পেরিয়ে একটা নির্দিষ্ট পাঠক্রম এর বাইরে গিয়ে যখন একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ঠিক তখন কিভাবে ভালো রেজাল্ট করা যায় তা জানা জরুরি। এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা শুধুমাত্র কিভাবে পড়াশোনা করতে হবে, কিভাবে খাতায় সুন্দর ভাবে উত্তর গুছিয়ে লিখতে হবে তা বুঝতে না পারার কারণে খারাপ একাডেমিক রেজাল্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কিছু কৌশল ব্যবহার করে নিশাত বরাবরই ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আজকে সেই পদ্ধতিগুলো আলোচনা করবো সংক্ষেপে।

 

প্রথমেই জানতে হবে একজন পরীক্ষক আপনার খাতায় কী কী বিষয় দেখতে চান। আপনি হয়তো বিষয়টা সম্পর্কে খুব ভালো জানেন কিন্তু পরীক্ষক যেভাবে চাচ্ছেন সেভাবে লিখছেন না তাহলে আপনি আশানুরুপ মার্ক পাবেন না। একজন পরীক্ষক তিন ধাপে আপনার উত্তর মূল্যায়ন করে থাকেন।

 

১ম ধাপ, পূর্ণ উত্তরঃ  তিনি আপনার উত্তরটিতে চোখ বুলিয়ে যান। দেখতে চান যে আপনি সম্পূর্ণ উত্তর করেছেন কিনা। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর অর্ধেক করেন তাহলে আপনার মার্ক প্রথমেই অর্ধেক বাদ। তাই উত্তরে সবগুলো পয়েন্ট থাকতে হবে।  

 

২য় ধাপ, প্রেজেন্টেশনঃ  এ পর্যায়ে পরীক্ষক আপনার প্রেজেন্টেশন দেখেন। আপনি কত সহজ ও সাবলীল ভাবে আপনার উত্তর প্রেজেন্ট করেছেন তার উপরই আপনার ৫০% মার্ক নির্ভর করে। এছাড়া খাতার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরিচ্ছন্ন খাতা, কাটাকাটি, খারাপ হাতের লেখা পরীক্ষকের মনে প্রথমেই আপনার সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিবে যা গোটা উত্তরে প্রভাব ফেলবে। তাই খাতা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং হাতের লেখা সুন্দর হতে হবে।

 

মনে রাখতে হবে, একজন পরীক্ষক উত্তর খুঁজে খুঁজে বের করবেনা বরং আপনার দায়িত্ব তাঁর সামনে এগুলোকে সহজভাবে প্রেজেন্ট করা যাতে তিনি সহজে খুঁজে পান। দেখা যায় অনেকে পত্রিকার কলামের মতো লিখে যায়। এরকম লেখা থেকে প্রয়োজনীয় উত্তর খুঁজে বের করা পরীক্ষকের জন্য দুরুহ। এসকল ক্ষেত্রে আপনার মার্ক কমে যাবে। উত্তরগুলোকে পরীক্ষকের চোখের সামনে ফুটিয়ে তোলার জন্য পরীক্ষার খাতায় প্রচুর ফ্লো চার্ট, টেবিল, ডায়াগ্রাম, চিত্র ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। পয়েন্টগুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য নীল কালির ব্যবহার করতে হবে।   

 

৩য় ধাপ, সঠিক উত্তরঃ এই ধাপে পরীক্ষক দেখেন যে আপনি যা লিখেছেন তা সঠিক কিনা। এজন্য আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি না জানেন তাহলে উপরের দুটি ধাপেও ব্যার্থ হবেন। তাই আপনাকে বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। পরীক্ষক সম্পূর্ণ উত্তর মনযোগ দিয়ে পড়েন না, তিনি মূল অংশটিতে মনযোগ দেন। তাই প্রশ্নের মূল অংশের উত্তর হতে হবে সঠিক অন্যথায় আপনি মার্ক পাবেন না।

 

উপরের ধাপগুলো সম্পন্ন করতে পরীক্ষার আগে নিন্মোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

 

১. ক্লাসে মনোযোগী হওয়া: অনেক এই ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো মনোযোগ দিয়ে করার কোনো প্রয়োজন নেই কিন্তু এতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার ফলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন শিক্ষক আসলে কোন বিষয়গুলো রেগুলার পড়াচ্ছেন। আপনি বুঝতে পারবেন তিনি কী কী বিষয় পরীক্ষা খাতায় দেখতে চান।

 

২. ক্লাস নোট করা: ক্লাসনোট করা আপনার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে যুগান্তকারী ভাবে সাহায্য করবে এবং বাকিদের থেকে এগিয়ে রাখবে কয়েকগুণ। ক্লাসে শিক্ষকদের লেকচারগুলো ফলো করলে এটি আপনাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় তথ্যবহুল উত্তর লিখতে সাহায্য করবে নির্দ্বিধায়। এটি না করলে আপনি পরীক্ষার আগে দিশেহারা হয়ে যাবেন ফলে পরীক্ষা খারাপ হবে।

         

৩. অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ: শুধুমাত্র ক্লাস নোট পরীক্ষার খাতায় আপনার ভালো নম্বর এনে দিতে পারবে না. তাই গৎবাঁধা তথ্যের বাইরে গিয়ে ইন্টারনেট এ বিশ্বের বিভিন্ন বই, নিউজপেপার এবং আর্টিকেল অবশ্যই পড়তে হবে। এতে করে জ্ঞান সমৃদ্ধির পাশাপাশি লেখা হবে তথ্যবহুল। আপনি যত বেশি তথ্য লিংক করতে পারবেন তত বেশি মার্ক পাবেন।

 

৪. মিড টার্ম এর প্রশ্নগুলো ফাইনালের আগে রিভিশন করা: ফাইনাল পরীক্ষার সময় মিডটার্ম বা সিটির প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়লে তা আপনাকে সুন্দর মতো উত্তর করতে সাহায্য করবে পরীক্ষার খাতায়।

 

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে এবং পরীক্ষার আগে থেকেই পড়াগুলো গুছিয়ে রাখলে আপনি নির্দ্বিধায় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যা হতে পারে একান্তই নিজস্ব যা আপনাকে একটি ভালো একাডেমিক রেজাল্ট করতে সাহায্য করবে অবশ্যই।

 




No comments

Powered by Blogger.